বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীর কুলাইচর গ্রামে সরকারী একটি খালের ইজারা নিয়ে দ্ব›দ্ব নিরশনের লক্ষে বসা সালিশ বৈঠকে জালাল হাওলাদার (৬০) নামে এক জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত জালালকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইচর গ্রামের দুষমি সাবানিয়া সরকারী খালে মাছ চাষের জন্য ৩ বছরের ইজারা নেয় কুলাইরচর গ্রামের সামসুল হক মৃধার ছেলে রায়হান মৃধা। এ খালের ইজারা নিয়ে একই গ্রামের জালাল হাওলাদারের সাথে দ্ব›দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রæপের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমার ঘটনাও ঘটে। এ খাল নিয়ে দ্ব›দ্ব নিরসনের জন্য আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুলাইরচর গ্রামের সামসের মৃধার বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে বসে জালাল হাওলাদার এবং রায়হান মৃধা তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রায়হান মৃধার লোকজন জালাল হাওলাদারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে স্বজনরা জালাল হাওলাদারকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
আহত জালাল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সালিশ বৈঠকে বসে রায়হান মৃধা ও মাসুদ মৃধার নেতৃত্বে আমাকে কুপিয়ে জখম করে।
অভিযুক্ত রায়হান মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এবং আমার কোন লোকজন জালাল হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করিনি। সে নিজে ঘটনা সাজিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাতে চাইছে।
আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাজমুন নাহার বলেন, আহত জালাল হাওলাদারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply