সোহরাব বরগুনা জেলা সংবাদদাতা:
বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা বলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম তারিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই, কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাহিরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সাথে তাদের বাসায় থাকে, আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়, কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনোই ভাবিনি, বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না। তিনি আরো জানান, নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়, সে আমার ছোট মেয়েটার দিকে কু-নজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে আমি তার কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, নুর ইসলামকে মুই খালু বোলাই, হ্যাগো ঘরে গেলে মোরে দোহানের সদয় আনতে দেতে আর হেরা খাইলে মোরেও খাওয়াইতে, তয় অনেক সময় খালু মোর দিগে ক্যামন হইরা যেন চাইতে, মাঝে মাঝে মোর গায় আত দেতে, এরপর হে কইতে তোরে মুই বিয়া হরমু, হেইলইগা মুই হের সব কতা হোনতাম। পরে একদিন হের পোয়া আরিফ ভাইয়ায় কয় তুই যা করছো তা কিন্তু আমি জানি, এখন আমার সাথে না করলে সবাইকে বলে দিবো। হেইয়া কইয়া হে মোরে চাইপা ধরে এবং আরো দুইদিন মোর লগে এইয়া হরছে। এহন সবাই কয় মোর প্যাডে নাকি বাচ্চা অয়ইছে কিন্তু মোর খালু মোরে বিয়া হরে না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বলেন ,বরগুনা সদর থানায় অভিযোগ করি। পরে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি আমলে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় ধরে আনেন। এর আধা ঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে ধরে আনা হয়েছে। তিনি আইনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply