‘পরেরবার এর চেয়ে ভালো শরীফুলকে দেখতে পাবেন’—কথাটা ২০২১ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে ধবলধোলাইয়ের পর বলেছিলেন তরুণ বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। সেই সফরেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল শরীফুলের।
কিউই ব্যাটসম্যানদের বিধ্বংসী রূপ ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই পেসারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম স্মৃতি। কিন্তু মার খেয়ে শরীফুল ভেঙে পড়েননি, তাঁর চোয়াল ছিল শক্ত, চোখে প্রতিজ্ঞা।
১০ মাস পর আবার যখন নিউজিল্যান্ড সফর এল, তখন শরীফুল ফিরছেন চোট থেকে। সংস্করণও ভিন্ন। এর আগে শরীফুল টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মাত্র একটি। সেটিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত এপ্রিলে। কিন্তু আজ বাংলাদেশ সময় ভোররাত চারটায় শরীফুল যখন লাল বলটা হাতে নিলেন, তখন মনেই হয়নি তিনি মাত্র এক টেস্ট খেলা বোলার।
দারুণ ছন্দে থাকা তাসকিন আহমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ছড়ি ঘোরালেন শরীফুল। অধিনায়ক মুমিনুল হকের টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক প্রমাণ করেন দুজন। তাসকিন-শরীফুলের প্রথম স্পেল থেকে নিউজিল্যান্ড রান করেছে মাত্র ২, উইকেট ১টি।
অধিনায়ক টম ল্যাথামের উইকেটও পেয়েছেন শরীফুল। পেতে পারতেন শতক হাঁকানো ডেভন কনওয়ের উইকেটও। ০ রানে থাকতে শরীফুলের এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার্স কলে রক্ষা পান এই বাঁহাতি।
সকালের সেই আঁটসাঁট বোলিংয়ের আমেজটা দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরও ছিল। আরেক পেসার ইবাদত হোসেনের বলে টম ব্লান্ডেল বোল্ড হলে সেটিই হয়ে যায় দিনের শেষ বল। নিউজিল্যান্ড প্রথম দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানে।
ওপেনার উইল ইয়াং ৫২ রান ও কনওয়ের ১২২ রানের ইনিংসের পরও দিন শেষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগিই করতে হয় স্বাগতিক কিউইদের। দিনের খেলা শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন যেমন বলছিলেন, ‘দিন শেষে ২৫০ রানে (২৫৮) ৫ উইকেট, বলা যায় খেলাটা সাম্যাবস্থায় আছে।’
Leave a Reply